,

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখা

গত ২৭ সেপ্টেম্বর দৈনিক বিজয়ের প্রতিধ্বনি, হবিগঞ্জের জনতার এক্সপ্রেস ও প্রতিদিনের বাণীসহ বিভিন্ন পত্রিকায় ‘সন্দলপুরে পুলিশের সোর্স ইব্রাহিম ও কাজলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এক পরিবার’ শিরোণামে প্রকাশিত সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। একটি কুচক্রি মহল গ্রামে আমাদের মান সম্মান ক্ষুন্ন করতে সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। সংবাদে যাদেরকে অসহায় পরিবার বলা হয়েছে, আসলে তারা কি ধরণের মানুষ সরেজমিনে গ্রামে গিয়ে যাচাই বাছাই করলে প্রমাণ পাওয়া যাবে। প্রকৃতপক্ষে আমরা ইব্রাহিম ও কাজল পুলিশের কোনো সোর্স নই। মূল ঘটনা হল, সন্দলপুর গ্রামে সাম্প্রতিক সময়ে চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মাস দেড়েক ধরে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫টি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। আর এসব চুরির ঘটনায় গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়লে আমরা দুইজন গ্রামের বেশ কয়েকজন মুরুব্বীদের নিয়ে নিকটস্থ পুলিশ ফাঁড়িতে যাই এবং বিষয়টি তাদেরকে অবগত করি। পুলিশ খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে ওই সব চুরির ঘটনার সাথে সিজিল, হোসেন, বিলাল, শাহ আলম, শামীম সহ একাধিক লোক জড়িত। যে কারণে তাদের বাড়িতে চুরি দমনে অভিযান চালানো হয়। সংবাদে আরও বলা হয়েছে, আমরা নাকি পুলিশ নিয়ে সিজিলের বাড়িতে প্রতিরাতে হানা দিয়ে থাকি। যা সত্য নয়। মূলত সিজিল একজন চিহ্নিত অপরাধী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। পুলিশ সিজিলসহ অন্যান্য অপরাধীতে বাড়িতে ঘন ঘন অভিযান চালানোর কারণে বর্তমানে চুরি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে এবং মানুষজনের মাঝে চুরি আতংক কমেছে। সংবাদে বলা হয়, আমরা নাকি তাদের বাড়ি ঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে বনের খড় জ্বালিয়ে দিয়েছি। মূলত তারা তাদের অপকর্ম ঢাকতে নিজেরাই নিজেদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের নাটক সাজিয়েছে। আমরা পুলিশের সোর্স নই বরং কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু সিজিলের অপকর্মের কারণেই গ্রামবাসী অতিষ্ঠ। যারা তার অপকর্মের প্রতিবাদ করে তাদেরকে সে হুমকি ধামকি প্রদান করে। তার এসব হুমকির কারণে আমি ইব্রাহিম মিয়া তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেছি। আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতেই সে তার লোকজন নিয়ে পরিবারের হামলা, ভাংচুরের নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়ায়। আমরা গ্রামের শান্তিপ্রিয় লোক। সরেজমিনে যাচাই করলে গ্রামবাসীই এর প্রমাণ দিবে। কাজেই সাধারণ মানুষকে তার মিথ্যা, বানোয়াট সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি এবং পাশাপাশি সিজিল ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি প্রশাসন দুঃস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য তাদের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
ইব্রাহিম মিয়া ও কাজল মিয়া
সাং সন্দলপুর, বানিয়াচং।


     এই বিভাগের আরো খবর